*** আল্লাহু আকবর (এক বার)
অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড় (বিশাল)।
*** আস্তাগফিরুল্লাহ (তিন বার)
অর্থঃ আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করছি।
*** আল্লাহুম্মা আনতাস্ সালামু ওয়া মিনকাস্ সালামু তাবারক্তা ইয়া যালজালালি ওয়াল
ইকরাম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট
থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী।
(মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১।)
*** লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু,
ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।
অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই,
তাঁর কোনো শরীক নেই, সকল রাজত্ত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁরই, আর তিনি সকল কিছুর
উপর ক্ষমতাবান (সর্ব শক্তিমান)।
*** সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহ্ সুবহানাল্লাহিল আযীম।
অর্থঃ আল্লাহ তায়ালার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা
ঘোষণা করছি, মহান আল্লাহ অতীব পবিত্র।
(সহীহ বুখারী ৭০৫৩।/সর্বশেষ হাদীস)
*** লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি আলিয়্যিল আযীম।
অর্থঃ সর্বোচ্চ মহা-শক্তিশালী আল্লাহর সাহায্য
ব্যতীত কোন কাজ সমাধান করার কাহারও কোন শক্তি নাই। (মুসলিম ১/৪১৫, নং ৫৯৪।)
Ø সুবহা-নাল্লাহ (আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান।) (৩৩ বার)
Ø আলহামদুলিল্লাহ (সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য।) (৩৩ বার)
Ø আল্লা-হু আকবার (আল্লাহ সবচেয়ে বড়।) (৩৩ বার)
Ø লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু
ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। (একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই, তাঁর কোন শরীক নাই, সকল
রাজত্ত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।)
ফজিলতঃ পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা
সমুদ্রের ফেনারাশির মত হয়।
মুসলিম, ১/৪১৮, নং ৫৯৭;
**** আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল
হাইয়্যূল কাইয়্যূমু। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা
ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম
ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস
সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা, ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম।
অর্থঃ আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্
নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আসমানসমূহে
যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই কিছু তাঁরই। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে
সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন
তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ
ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি
সুউচ্চ সুমহান।
ফজিলতঃ আয়াতুল কুরসি (সূরা আল-বাকারাহ্ ২৫৫) (যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে এটি পড়বে, তাকে মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশে আর অন্য কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।) (সূরা আল-বাকারাহ্-২৫৫।)
*** আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু
আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্। আল্লাহু আকবার কাবীরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরা ওয়া সুবহানাল্লাহি
বুকরাতান ওয়া আসীলা।
অর্থঃ আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান,
আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান,
অতি মহান, আল্লাহ তাআলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহর পবিত্রতা
বর্ণনা করছি।
*** কুরআনের শেষ তিন সূরা ***
*** সূরা আল-ইখলাছ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্
সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।
বলুন,
তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই
তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য
কেউই নেই।
*** সূরা আল-ফালাক
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি
মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল
‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ।
অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।
বলুন,
আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট
হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক
দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।
*** সূরা আন-নাস,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি,
ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি,
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।
অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।
বলুন,
আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী
কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং
মানুষের মধ্য থেকে।
**** আল কুরআন শেষ করার মত নেক আমল হল ****
১। সুরা আল-ফাতাহ (এক বার)
২। সুরা আল-ইখলাছ (তিন বার)
অতিরিক্তঃ (ইচ্ছা মত- একটি নির্দিষ্টতা; ৩, ৫, ১০, ১৫, ২০)
১। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
২। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদু ও রাসুলুহু।
৩। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।
৪। সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহ্ সুবহানাল্লাহিল আযীম।
৫। আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্। আল্লাহু আকবার কাবীরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসীলা।
No comments