*** আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্সালা ওয়াতু ওয়াত্তায়্যিবাতু আস্সালামু
‘আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু ‘আলাইনা
ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস সালেহীন। আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না
মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।
অর্থঃ যাবতীয় অভিবাদন আল্লাহ্র জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজ (আল্লাহ্র জন্য)। হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং আল্লাহ্র সৎ বান্দাদের উপরও বর্ষিত হোক শান্তি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল।
(বুখারী (ফা: বারীসহ) ১/১৩, নং ৮৩১; মুসলিম
১/৩০১, নং ৪০।)
*** আল্লাহুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন
কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা
বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বারাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া
‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহা-মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহা-মহিমান্বিত।
(বুখারী, (ফা: বারীসহ) ৬/৪০৮, নং ৩৩৭০;
মুসলিম, নং ৪০৬।)
*** রর্ব্বি হাম্হুমা কামা রব্বা ইয়ানী ছোয়াগীরাহ।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন।
(সূরা আল-ইসরা- ১৭:২৪)
*** রব্বানা জোয়ালাম্না আন্ফুসানা অইল্লাম্ তার্গ্ফিলানা অর্তাহাম্না
লানাকূনান্না মিনাল্ খাসিরীন্।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা নিজদের উপর যুল্ম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।
(সূরা আল আরাফ- ৭:২৩)
*** রব্বানায় আতিনা ফিদ্- দুন্ইয়া হাসানাতাওঁ অ’ফিল্ আখিরাতি হাসানাতাওঁ
অ’ক্বিনা আযাবান্নার।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
(বুখারী-৫ম খন্ড, আবু দাউদ-২য় খন্ড, সালাত
অধ্যায়,
সূরা আল বাকারাহ - ২:২০১)
*** আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযাবিল ক্বাবরি ওয়া মিন
‘আযাবি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামাতি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল
মাসীহিদ দাজ্জা-ল।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে।
(বুখারী ২/১০২, নং ১৩৭৭; মুসলিম ১/৪১২,
নং ৫৮৮।)
*** আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাচি ওয়াল জুনুনি ওয়াল
ঝুজামি ওয়া মিন সায়্যিয়িল আসক্বাম।’
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমি শ্বেত রোগ থেকে আশ্রয় চাই। মাতাল হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আর দুরারোগ্য ব্যাধি (যেগুলোর নাম জানিনা) থেকে আপনার আশ্রয় চাই।
(আবু দাউদ, তিরমিজি)
*** 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।’
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল,
ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।
(মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
*** আল্লাহুম্মা আঝিরনি মিনান-নার।
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আমাকে
জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর।’
(আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, ইবনে হিব্বান)
*** আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়ালা ইয়াগফিরুয্
যুনূবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর
রাহীম
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা করতে পারে না। অতএব আমাকে আপনার পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা দ্বারা মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু।
(বুখারী ৮/১৬৮, নং ৮৩৪; মুসলিম ৪/২০৭৮, নং ২৭০৫।)
No comments